Sashya Bima Yojana Update 2024: ভারতীয় কৃষক বা বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকবন্ধু (Krishak Bandhu)-দের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ফসলের জন্যে বীমা করার যে পদ্ধতি এনেছে তাতে উপকৃত হয়েছেন বহু কৃষক (Sashya Bima Yojana Update 2024)। 2024 সালে রবি মরশুমের ফসল বীমার জন্যে আবেদন পত্র জমা পড়েছে প্রায় 7 লক্ষ। তবে সব ফসলের মধ্যে সর্ষের বীমার জন্যে আবেদন সবচেয়ে বেশি জমা পড়েছে। রবি মরসুমের ফসল এর মধ্যে যেসকল ফসল পরে সেগুলি হল- আলু , আখ, মুসুর, ভুট্টা, খেসরি, গম, ছোলা, সর্ষে সহ মূলত আটটি ফসল।
Sashya Bima Yojana Update 2024
উপরুক্ত সকল ফসলের জন্যই প্রয়োজন অনুসারে বীমার আবেদন করছেন কৃষকরা। এই সব ফসলের বীমার আবেদন করার তারিখ 31 শে ডিসেম্বর থেকে 15ই জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিলো। তবে বোরো ধানের জন্যে বীমার আবেদন 31শে জানুয়ারী পর্যন্ত গ্রহণ করবেন কৃষি আধিকারিক দপ্তর। তাছাড়া তিল চাষের জন্য কৃষকরা মার্চ মাস পর্যন্ত এই আবেদন জমা করতে পারবেন। জেলা কৃষি দফতর থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
15ই জানুয়ারি পর্যন্ত রবি মরশুমে বীমার আওতাভুক্ত 10 টি ফসলের জন্যে প্রায় 7 লক্ষের মতো আবেদন পত্র জমা পড়েছে। একজন চাষি একটি আবেদন পত্রেই একাধিক ফসলের বীমার জন্য আবেদন করেছেন। তবে 15ই জানুয়ারি তে আবেদন জমা করা শেষ হওয়ায় 8টি ফসলের মধ্যে সর্ষের জন্যে আবেদন সব থেকে বেশি জমা হয়েছে বলে জানা গেছে। সর্ষের জন্য অবেদন জমা পড়েছে প্রায় 2.5 লক্ষ। গমের জন্যে 30 হাজার এবং বোরো ধানের জন্যে আবেদন পত্র এখনো চলছে এবং তথ্য অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত 20 হাজার আবেদন জমা পড়েছে।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবি মরসুমে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ চাষি বিমার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে জেলার 125 টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 1 লক্ষ 63 হাজার চাষি প্রায় 63 কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন (Sashya Bima Yojana Update 2024)।
আখ ও আলু বাদে রবি মরসুমে 8টি ফসলের বীমার প্রিমিয়ামের পুরো তাল দিচ্ছে সরকার। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অন্য কোন কারনে ফসলের ক্ষতি হলে কৃষি দফতরের প্রতিবেদন ও উপগ্রহ চিত্রের থেকে সংগ্রহীত তথ্য অনুযায়ী ক্ষতিপুরণ পেতে পারেন কৃষকরা। মুর্শিদাবাদ জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহনলাল কুমার বলেন, “ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ফলে বিমার আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের”।
আমরাও অধিক সংখ্যক চাষিকে বিমার আওতাভুক্ত করতে নানা ভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই আটটি ফসলের বিমার আবেদনের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা মোহনলাল কুমার বলেন, “ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ফলে বিমার আগ্রহ বাড়ছে। আমরাও অধিক সংখ্যক চাষিকে বিমার আওতাভুক্ত করতে নানা ভাবে প্রচার করছি। আটটি ফসলের বিমার আবেদনের সময় শেষ হয়েছে, আমরা লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছবো।”
আরও পড়ুনঃ